জানুয়ারীর প্রথমে ভারতের ভ্যাক্সিন পাবে বাংলাদেশ



জানুয়ারির প্রথম দিকেই বাংলাদেশ ভারতে তৈরী করোনার ভ্যাকসিন পাবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। রাজধানীর বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনস মিলনায়তনে দেশব্যাপী হাম ও রুবেলা ক্যাফেইন-২০২০ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানকালে তিনি এ কথা বলেন।

করোনার কারণে প্রায় দেশের অর্থনীতি খারাপ অবস্থা তৈরি হলেও বাংলাদেশের অর্থনীতি অনেক ভালো আছে। যে জন্য  দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড অব্যাহত আছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরো বলেন, অতীতে সরকার কর্তৃক বেশ কয়েকবার দেশব্যাপী হাম ও রুবেলা ক্যাম্পেইন পরিচালিত হওয়া সত্ত্বেও বিগত কয়েক বছরে দেশে হাম ও রুবেলা রোগের প্রকোপ ও আক্রান্তের সংখ্যা দুটিই বেড়ে গেছে। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ কল্পে এবং ২০১৩ সাল নাগাদ দেশ থেকে হাম ও রুবেলা দূরীকরণের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য সরকার আগামী ১২ ডিসেম্বর হতে ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত সারাদেশে এই হামও রুবেলা ক্যাম্পেইন ২০২০ পরিচালনা করতে চলছে।

ভ্যাকসিনের কারণে বাংলাদেশ গড় আয়ু বাড়ছে, ভ্যাকসিনের মাধ্যমে শিশু ও মায়ের মৃত্যু ঝুঁকি কমে আসবে। দেশের প্রায় ৯০ শতাংশ শিশুকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনা হয়েছে। ভ্যাকসিনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভ্যাকসিন হিরো উপাধি ও লাভ করেছে উল্লেখ করে জাহিদ মালেক বলেন, এটা স্বাস্থ্যখাতের জন্য অনেক বড় অর্জন।


এই ক্যাম্পেইনের আওতায় দেশব্যাপী ৯ মাস থেকে ১০ বছরের নিচের ৩ কোটি ৪০ লাখ শিশুকে এক ডোজ এমআর টিকা প্রদান করা হবে। এই নিয়ে চতুর্থবারের মতো এ ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তবে এবার স্কুল ক্যাম্পেইন থাকছে না। কিন্তু এবারের ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হবে কমিউনিটির ভিত্তিতে।এই ক্যাম্পেইনের মূল উদ্দেশ্য হলো ৯ মাস থেকে ১০ বছরের শতকরা ৯৫ ভাগেরও বেশি শিশুকে এক ডোজ টিকা প্রদান। চলমান করোনা মহামারি কথা বিবেচনা করে নিরাপদ পরিবেশে জনগণ বা স্বাস্থ্যকর্মী কারও ক্ষতিসাধন না করে গুণগত মানসম্পন্ন একটি টিকাদান ক্যাম্পেইন পরিচালনা নিশ্চিতকরণ করা।

করোনা ভ্যাকসিন পেতে সরকারের সব প্রস্তুতি আছে জানিয়ে স্বাস্থ্য সচিব আবদুল মান্নান বলেন, ইতোমধ্যে আমরা সাড়ে চার কোটি মানুষের টিকা নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়েছি। টিকা না আসা পর্যন্ত মাস্কই একমাত্র ভরসা।


বাংলাদেশে করোনায় মৃত্যু ৩৭, আক্রান্ত ১,৮৬১ 

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ৩৭ জন মারা গেছে, এই সময়ে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ৮৬১ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৪ হাজার ৪৮৬ জন।

 

বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব তথ্য জানানো হয়। 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত এক দিনে মারা যাওয়া ৩৭ জনকে নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মোট মৃতের সংখ্যা মোট ৬ হাজার ৯৬৭ জনে দাঁড়িয়েছে।


স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন গত কাল। মোট এ পর্যন্ত সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে ৪ লাখ ১০ হাজার ৪৫২ জন হয়েছে। 

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আরো জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ১১২টি আরটি পিসিআর ল্যাব, ১৮টি জিন এক্সপার্ট ল্যাব ও ১০টি র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন ল্যাবে অর্থাৎ সর্বমোট ১৪০টি ল্যাবে ১৬ হাজার ২৬৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। আর এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ২৯ লাখ ২৭ হাজার ৯২৯টি নমুনা।

আগের দিন ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ১১ দশমিক ৪৪ শতাংশ, এ নিয়ে মোট শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৬০ শতাংশ। আর শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৪ দশমিক ৪৬ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৩ শতাংশ।

গত এক দিনে মারা যাওয়াদের মধ্যে ২৮ জন পুরুষ এবং ৯ জন নারী। তাদের মধ্যে ৩৬ জন হাসপাতালে আর ১ জন বাড়িতে মারা গেছেন। মৃত ২৩ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের ও বেশি, ৮ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে এবং ৩ জন করে মোট ৬ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ ও ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ছিল জানা যায়।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন