মাদারীপুরের কলেজের সহকারী অধ্যাপকের তালাক প্রাপ্ত স্ত্রীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক



মাদারীপুরের কলেজের সহকারী অধ্যাপকের তালাক প্রাপ্ত স্ত্রীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক । মাদারীপুর জেলার শিবচর থানার নূরুল আমিন কলেজের পরিসংখ্যান বিষয়ের সহকারী অধ্যাপকের

অনৈতিক সম্পর্কে উক্ত কলেজের অভিভাবক ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। 


ঐ শিক্ষকের তালাক দেওয়া স্ত্রীর সাথে অবৈধভাবে সম্পর্ক স্থাপন করায় এলাকায় চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। 


ঐ শিক্ষকের এসব অনৈতিক কাজকর্মে ক্ষুব্ধ হয়ে শিক্ষকের পদত্যাগ চেয়ে প্রায় দুইশতাধিক অভিভাবক ও  শিক্ষার্থীর স্বাক্ষরিত একটি আবেদন কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। 


এসব ছাড়াও বিভিন্ন সময় কলেজের ছাত্রীদের সাথে বাজে আচরণের অভিযোগ ও করে । 


জানা যায় যে, অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম এটিএম জহির রায়হান(৪০)। তিনি ঐ কলেজের পরিসংখ্যান বিষয়ের সহকারী অধ্যাপক  হিসেবে বর্তমানে চাকরি করছে।

 

জানা যায়,  ১৯ নভেম্বর ২০১৯ সালে সহকারী অধ্যাপক এ টি এম জহির রায়হান ও স্ত্রী একটি খোলা তালাক করেন। 


দেখার বিষয় যে,  আবার দেখা যায় ১৯ ডিসেম্বর পুনরায় একতরফা তালাক প্রদান করেন ওই সহকারী অধ্যাপকের  স্ত্রী। 


তবে এরপর  ২০২০ সালের ১৬ জুন পুনরায় একটি কাবিননামায় নিবন্ধন করেন। 

এই মাঝের সময়ে অর্থাৎ ১৯ নভেম্বর ২০১৯ হতে ১৬ জুন ২০২০ পর্যন্ত তারা স্বামী স্ত্রী পরিচয়ে একসাথেই সংসার করেন। 


অর্থাৎ ১৯ নভেম্বর  ২০১৯ থেকে ১৬ জুন ২০২০ পর্যন্ত তারা অবৈধভাবে সম্পর্ক স্থাপন করেন। 


এছাড়া আরো জানা যায় যে, তার স্ত্রী সোনিয়া নাসরিন বন্যা  ছাত্রী থাকাকালীন অবৈধ সম্পর্ক করার সময় এলাকাবাসীর কাছে হাতে নাতে ধরা পরার পর বিয়ের মাধ্যমে তা সামাল দেওয়া হয়। 


এলাকাবাসী আরো জানান, ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে  কলেজের নারী শিক্ষার্থীদের সাথেও বাজে আচরণের অভিযোগ রয়েছে। 


এছাড়া বিবাহিত হয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক বিভিন্ন মেয়েদের সাথে পরকীয়া করে বেড়াতো তাই তাদের সংসারে পারিবারিক কলহ লেগেই থাকতো বলে প্রতিবেশীদের কাছ থেকে জানা যায়। 


এই বিষয় নিয়ে ড. নুরুল আমিন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ লুৎফর রহমান জানান যে,

 প্রায় দুইশতাধিক শিক্ষার্থী অভিবাবকদের স্বাক্ষরিত লিখিত একটি অভিযোগ পেয়েছি। এই বিষয়টি নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি ও সৃষ্টি হয়েছে। এই বিষয়টি আমি  খতিয়ে দেখছি।

إرسال تعليق

أحدث أقدم