মাদারীপুরে ঝড়ের রাতে গনধর্ষন পরে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা

ধর্ষক রাকিব মোল্লা ও তার পাশে পালং জাজিরার এমপি ইকবাল হোসেন অপু


 মাদারীপুর জেলার শিবচর থানাধীন কুতুবপুর ইউনিয়নে এক বাড়িতে ঝড় হওয়া অবস্হায় ময়ূরী বেগম (৩৫) জোর করে গন ধর্ষন করা হয়। 

ভুক্তভোগী অভিযোগ করে রাত ৯ থেকে ১০ টার মধ্যে  তার ঘরে প্রবেশ করে শরীয়তপুর জেলার পালং জাজিরা থানার নাওডোবা ইউনিয়নের রাকিব মোল্লা (২৫) ও তার চার জন সহযোগী নিমাই ঢালী (২২) বাবার নাম আলমগীর ঢালী (৪৫), ইসরাফিল মোল্লা (৩৫) বাবার নাম ইসমাইল মোল্লা (৫৫) সহ আরো দুইজন। রাকিব মোল্লা ও ইসরাফিল মোল্লা ঐ ঘরে প্রবেশ করে ময়ূরী বেগম ও তার স্বামীকে প্রথমে ভয়ভীতি দেখিয়ে ২০,০০০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। পরে ঐ মহিলাকে গন ধর্ষণ করে রাকিব মোল্লা,  ইসরাফিল মোল্লা সহ তাদের সহযোগী আরো তিনজন । ঐ মহিলার স্বামী বাধা দিতে আসলে তার মাঘায় আঘাত করে সে নিচে পড়লে সবাই মিলে তাকে লাথি ও ঘুষি মারতে থাকে। 

ঐ মহিলার পাশের বাসায় তার ভাই শব্দ শুনে ঘরে আসা মাত্রই তাকে রাকিব মোল্লা ও তার সহযোগীরা এলোপাতাড়ি ঘুষি লাথি দিতে থাকে। আসে পাশের মানুষ শব্দ পেয়ে ছুটে আসলে রাকিব মোল্লা ও তার সহযোগী চারজন সবাই পালিয়ে যায়। ঐ মহিলা তার স্বামী ও ভাইকে নিয়ে থানায় মামলা করতে গেলে রাকিব মোল্লা ও ইসরাফিল মোল্লার সমাজের নেতা ইলিয়াস মোল্লা (৫৫) এসে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে ও তাদের ভয় ভীতি দেখিয়ে চলে যায়। 

স্থানীয় দের কাছ থেকে জানা যায় ধর্ষক রাকিব মোল্লা ও ইসরাফিল মোল্লা সহ তাদের অত্যাচারে তারা সবাই অতিষ্ঠ। আর তাদের সহযোগীতা করে তাদের নেতা  ইলিয়াস মোল্লা। তাদের ভয়ে কোন ভুক্তভোগী মামলা করতেও ভয় পায়। 

জানা যান শরীয়তপুরের পালং জাজিরার এমপি ইকবাল হোসেন অপুর সাথে রাকিব মোল্লার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। 

আরো জানা যায় যে রাকিব মোল্লা নাওডোবা ইউনিয়নের  ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক। 

إرسال تعليق

أحدث أقدم